November 1, 2024, 10:30 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া মডেল থানা ও পুলিশ লাইনে জব্দ করে রাখা হয়েছে অন্তত: দেড়শ রিক্সা। কুষ্টিয়া মডেল থানায় প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশের পর যে বিশাল ফাঁকা জায়গা তা এখন যেন রিক্সার গ্যারেজ। এখানে এখন রিক্সা ও অটোরিক্সা মিলিয়ে আছে প্রায় অর্ধশতটি। আরো শতাধিক রিক্সা আছে পুলিশ লাইন্স-এ।
কঠোর লক্ডাউন অমান্য করে রাস্তায় নামায় প্রথম দুই দিনে এসব রিক্সা ধরে ভেতরে নিয়েছে পুলিশ। আর ক্ষুব্ধ চালকরা দিনভর ছিলো থানার সামনে। এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে ৩০-৪০ জন রিক্সাচালক থানার প্রধান ফটকে এসে বিক্ষোভ দেখান। এসময় ওসি শওকত কবির এসে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি আশ্বাস দেন উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে দ্রুত রিক্সাগুলো ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ নেবেন। এ প্রেক্ষিতে রিক্সাচালকদের সামনেই ওসি শওকত কবির পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসেম তিনি সন্ধ্যার পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে সবাইকে জানান।
ওসি শওকত কবির বলেন, লকডাউন অমান্য করায় গতকাল এবং আজ দুই দিনই রিকশা জব্দ করা হয়েছে। এর সংখ্যা কত? সন্ধ্যার পরে হিসেব করে বলতে পারবেন- বলেন ওসি।
তবে ওসি অপারেশন মামুনুর রশিদ বলেন, থানায় ৫০টি মতো আর পুলিশ লাইন্স-এ ১০০টির বেশি রিক্সা জব্দ আছে। মামলা হবে না-কি মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে সে সিদ্ধান্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেবে বলে জানান তিনি।
রিকশাচালকরা দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত থানা মোড়ে বক চত্বরে অবস্থান করে ছিলেন। রিক্সাচালক হাবিল চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমাদের দেখার কেউ নেই। পেটের দায়েই তো রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি। আমাদের সাত দিনের খাবার দিয়ে দিলেই তো বাড়ি থেকে বের হতাম না।
শরীফ বলেন, চার চাকার গাড়ীতো ঠিকই চলছে। তাদেরতো ধরে থানায় নেয়া হচ্ছে না। যতো অত্যাচার গরীব মানুষের প্রতি। কেউ তো দুই কেজি চাল নিয়েও আসে না।
একজন রিক্সাচালক দোষ চাপান সাংবাদিকদের ওপর। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা ছবি তুলতে আসলো আর তাদের দেখানোর জন্য রিক্সা ধরে গেটের ভেতরে ভরতে শুরু করলো। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকটি রিক্সা ছেড়ে দেয়া হয়েছে, তাহলে আমরা কী দোষ করলাম।
অটো চালক শহরের চরকুঠিপাড়ার মকিম সর্দার জানান বুধবার তিনি অটো নিয়ে বের হন নি। ঘরে চালডাল বাড়ন্ত তাই বৃহস্পতিবার বের হয়েছেন। মকিম জানান অলিতে গলিতে সকাল থেকে ভাড়া মারছিলেন শহরের প্রধান সড়কে উঠতেই পুলিশ ধরেছে।
মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার আলমগীর হোসেন লালন জানান তার বা”চাটি অসু¯’্য। ওসুধের অর্থ যোগাড় করতেই তিনি রিক্্রা নিয়ে বের হন।
তিনি জানান একটি ভাড়াও তিনি ধরতে পারেননি। তার আগেই পুলিশ ধরেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির বলেন তারা যাবেন কোনদিকে। এসব যানবাহন ছেড়ে দিলে সাথে সাথে মিডিয়া সয়লাব হয়ে যায় পুলিশ কর্তব্য শিথিল করেছে। আর এখন আটকে দেয়ার পর মিডিয়া অভিযোগ তুলছে “পুলিশ নাকি গরীবের পেটে লাথি মারছে।”
“সবাইকে এই পরি¯ি’তিতে সহযোগীতার ভুমিকায় আসতে হবে” তিনি জানান।
রাতে ওসি জানান যেহেতু আইনগত বিষয় তাই শুক্রবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Leave a Reply